সীমান্তে চীন-ভারতীয় সেনার মারামারি! বন্ধ কৈলাস যাত্রা
সীমান্ত নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে ভারত-চীনের মধ্যে। সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে ঝামেলার জের। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কৈলাস মানস সরোবরগামী তীর্থযাত্রীদের। তিব্বতে ঢোকার আগে তীর্থযাত্রীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।
স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নিল বেইজিং। এই কারণেই সিকিমের নাথুলা পাসও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। বেইজিংয়ের দাবি, নিরাপত্তাগত কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকটি অস্থায়ী সেনা বাঙ্কার ধ্বংস করেছে। যদিও চীনা সেনার অভিযোগ, ভারতই সীমান্তে চীনের রাস্তা তৈরিতে বাধা দিয়ে সমস্যা তৈরি করেছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সে কারণেই নাথুলা পাস বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি ভারতীয় সেনা সিকিম সীমান্ত পেরিয়ে চীনা এলাকায় ঢুকে পড়ে, ডংলং এলাকায় কার্যরত চীনা সেনাকে বাধা দেয়। তাই চীন সেইমত ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও ফাঁস হওয়া ভিডিওতে ভারতীয় সেনার চীনা সীমান্তে ঢুকে পড়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাতে পরিষ্কার দেখা গেছে, জোর করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে চীনা সেনা। আর তা ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।
অন্যদিকে, মানস সরোবর মুখী ৪৭ জন তীর্থযাত্রীর প্রথম দলকে ১৯ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে নাথুলায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা উত্তরাখণ্ডের পুরনো লিপুলকে-র পথ ধরে মানস সরোবর রওনা দেন। নাথুলার পথটি নতুন, ২০১৫ সালে মোদী সরকারের অনুরোধে ওটি খুলে দেয় চীন।
চীনের দাবি, ভারতকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তিকে সম্মান করতে হবে, সীমান্ত থেকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সরাতে হবে ও গোটা বিষয়টির তদন্ত করতে হবে, যাতে সিকিম সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকে।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন