সেদিন পুরো বিমানবন্দরের বাতাস প্রকম্পিত হয় শ্লোগানে
দিনটি ছিল বৃষ্টিমুখর। বিকেল বেলায় রাজধানীর কুর্মিটোলার পুরনো বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল। ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে বাংলার মাটিতে বোয়িং বিমানটি যখন চাকা ছুাঁয়ালো মুহূর্তেই পুরো বিমানবন্দরের বাতাস প্রকম্পিত হলো শ্লোগানে।
বিমান থেকে বেরিয়ে আসলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ নির্বাসনে থেকে একাই ফিরলেন দেশে। বৃষ্টির পানি আর চোখের জল সে সময়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল তার গাল। প্রকৃতিও যেন কাদছিল তার সঙ্গে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে’র সেই বৃষ্টিমুখর দিনটি শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলার জন্যও ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়। এভাবেই শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বর্ণনা দিয়েছেন দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় বেচেঁ গিয়েছিলেন। পরে আর দেশে ফেরা হয়নি। পরবাসে এভাবেই কাটে দীর্ঘ ছয় বছর। অবশেষে দেশমাতৃকার টানে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে। এ বছর তার ৩৬তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বার্ষিকী।
দিনটির সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি যেদিন ফিরে আসেন, সেদিন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল না, ছিল সর্বব্যাপী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ। অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশে তিনি হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা— অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথযাত্রী।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু-তনয়া শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বেলা আড়াইটায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন