হাইকোর্টের রিটের পর নবনির্মিত মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম শুরু
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নির্মাণের ৩ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। নবনির্মিত জেলা সদর হাসপাতালের নিচতলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সদর হাসপাতালটির উদ্বোধনী করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি। আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান-এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম প্রমুখ।
স্থানীয় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালে ৬ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে গণপূর্ত বিভাগ কাজটি শেষ করার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। তবে দীর্ঘ দিনে পার হয়ে গেলেও নতুন ভবনে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সেবা চালু না হওয়াতে ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। পরে গত বছরের ১৪ নভেম্বর মাদারীপুর সদর হাসপাতালের বর্ধিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অনতিবিলম্বে চালু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহাসচিব (ডিজিএইচএস), মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগ, মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগ, সিভিল সার্জন, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, জেলা প্রশাসক এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়ে ছিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল আশিক (তারেক শরীফ)।
তারা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ না করার কারণে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক পিটিশনার হয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের বর্ধিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু না হওয়ার কারণ কি জানতে রুল জারি করেন। হাসপাতালের কার্যক্রম কেন চালু করা হচ্ছে না তার প্রতিবেদন আগামী ২ মাসের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দাখিলকৃত দরখাস্তটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করাও নির্দেশ প্রদান করে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার ৫০টি শয্যা দিয়ে অংশিকভাকে ২৫০ বিশিষ্ট সদর হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করে।
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক জানান, ৩০ কোটি টাকা মুল্যে নির্মিত ওই হাসপাতালটি নির্মাণ কাজ অনেক আগেই শেষ হলেও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানতে পারি কার্যক্রম শুরু না হলেও মুল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একারণে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছি।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা.মুনির আহমেদ খান জানান, অবশেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে রোগীদের আরো ভালো সেবা প্রদান করা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন