কোমর ভাঙলেও বিএনপির ষড়যন্ত্র থেমে নেই : সম্প্রচারমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে বিএনপির যে কোমর ভেঙে গেছে, তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই তা পরিস্ফুটিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সবসময় ছিল, এখনো আছে।’

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মুন্সী জালাল উদ্দীন, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ডিসেম্বরের পর বিএনপির কর্মচাঞ্চল্য নেই -এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ডিসেম্বর মাসেই সরকারকে বিদায় করে দেবে, সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। কিন্তু সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই পড়ে গেছে। এরপর থেকে তারা এখন হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হয় না; সরকারের ভিত, আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। আশা করবো বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যেই থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছিল, পরে উপনির্বাচনে ৩০টি অতিক্রম করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ৬টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা যে নেই সেটি তারা জানে, জানে বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলছে।’

উকিল আব্দুস সাত্তারকে ধরে রাখতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা
উকিল আব্দুস সাত্তারকে ধরে রাখতে না পারাকে বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ। বিএনপির মহাসচিবের মন্তব্য ‘মাগুরার নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন’ এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘সেখানে যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না, সেহেতু আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যে কাউকেই পছন্দ করতে পারে। সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে কারো জন্য কাজ করার দলীয় কোনো নির্দেশনা ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনে আমরা প্রার্থী দেইনি, সুতরাং সেখানে উকিল আব্দুস সাত্তার সাহেবকে বিএনপি ধরে রাখতে পারেনি, এটা তো বিএনপিরই বড় ব্যর্থতা।’

পয়লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাত্র ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম এবং সেই সব আসনে আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করেছে এবং নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। উপনির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। যেখানে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেই বিবেচনায় এই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম নয় এবং অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হয় না। আবার যারা ভোটার হয় সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হয়। সার্বিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে যেহেতু উপনির্বাচনে এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবে, সে হিসেবে ভালো হয়েছে।’