৩০-৪০টি আসন চেয়েছি : ড. কামাল

বিএনপির কাছ থেকে গণফোরাম ৩০ থেকে ৪০টি আসন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। জানিয়েছেন, এর মধ্যে রাজধানীতে থাকতে হবে দুটি।

মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গণফোরাম নেতা। এর আগে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বৈঠকে ঠিক আলোচনা হয়েছে তা জানাননি।

শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে বেকায়দায় আছে বিএনপি। কারণ, একদিকে ২০ দলীয় জোট এবং একদিকে ঐক্যফ্রন্টের শরিক রয়েছে। ২০ দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের দাবি নিয়ে বিএনপিতে আপত্তি আছে।

ঐক্যফ্রন্টের তিন শরিক গণফোরাম ১৬০, নাগরিক ঐক্য ৩৫ এবং জেএসডি ২০টি আসন চেয়েছে। তবে তারা মোট ১১৩টি আসন নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার কথা জানিয়েছেন নেতারা।

এর মধ্যে বিএনপি তার নেতাদেরকে মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছে। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল বলেন, ‘এখন দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হচ্ছে, পরবর্তী সময় আলোচনাসাপেক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।’

‘দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। এটা জোটগতভাবে হচ্ছে না। আলাদা আলাদা হচ্ছে। পরে বসে এগুলোকে সমন্বয় করা যাবে। সময় স্বল্পতার জন্য এখন দলীয়ভাবে হচ্ছে। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

গণফোরাম এর আগে শতাধিক আসন চাইলেও এখন সেটি কমানো হয়েছে বলে জানান ড. কামাল। বলেন, ‘আমরা গণফোরাম ৩০-৪০টি আসন চেয়েছি। তার মধ্যে ঢাকাতে দুটি আসন থাকতে হবে।’

তবে কোন দুটি আসন সেটি নিশ্চিত করেননি ঐক্যফ্রন্ট নেতা।

সেখানে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে গণফোরামের সাথে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। যে দলের প্রার্থী যোগ্য সেই দলের প্রার্থীর জন্য ছাড় দেয়া হবে। আমাদের প্রার্থী যোগ্য হলে ওদের বলব ছাড় দিতে। আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী নির্বাচনে লড়ব।’

নির্বাচনে ইভিএমের ব্যাহারের ব্যাপারে ইসি সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্ট মেনে নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘না মেনে নিলে কী করা যাবে? সংসদ নির্বাচন তো এ কারণে আমরা বাদ দেব না। ইভিএম নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইভিএম বাতিল না করায় নির্বাচন বর্জন নয়, আমরা যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে যাব।’