‘আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো’ গানের স্বীকৃতি পেলেন টিটু পাগল

‘অতীতের কথাগুলো পুরোনো স্মৃতিগুলো
মনে মনে রাইখো।
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো।’

ব্যাপক শ্রোতা প্রিয় একটি গান। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে আছে গানটি। যত সময় যাচ্ছে ইউটিউবে বাড়ছে গানটির ভিউয়ার। কিন্তু গানটি নিয়ে দেখা দেয় একটি সমস্যা। কে গানটির আসল মালিক? গীতিকার ও সুরকার কে? এ প্রশ্ন ঘুরতে থাকে মানুষের মনে। অবশেষে সমাধান হলো এই বিতর্কের।

গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি কামরুজ্জামান রাব্বি তার ভারিফাইড ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম গানটি প্রকাশ করেন। এমনকি ঈগল মিউজিকের চ্যানেলেও গানটি প্রকাশ করা হয়। এরপর গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে দাবি করে বসেন দুজন। একজন হলেন মাহবুব শাহ। আরেকজন হলেন টিটু পাগল। আর এতেই বাধে বিপত্তি।

টিটু পাগল জানান, বিক্রমপুরের চান মস্তানকে নিয়ে গানটি লিখেছেন তিনি। ২০১২ সালে তার মাজারে প্রথম গানটি গান তিনি। গানটি পছন্দ হয় মাহবুব শাহের। এরপর মাহবুব শাহ তাকে গানটি গাওয়ার জন্য শ্রীনগরে আমন্ত্রণ জানান। সেদিন একই মঞ্চে তারা দুজনে মিলে গানটি গান। কিছু অংশ পরিবর্তন করে মাহবুব শাহ গানটি নিজের নামে চালিয়ে দেন। সমস্যা সমাধানে কপিরাইট অফিসের দ্বারস্থ হন টিটু পাগল।

এরপর এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে টিটু পাগল ও মাহবুব শাহ, কণ্ঠশিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি আর ঈগল মিউজিকের কর্ণধার কচি আহমেদকে ডাকা হয়। অন্যরা শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না মাহবুব শাহ। সবশেষ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কপিরাইট অফিস থেকে টিটু পাগলের হাতে গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতির সনদ তুলে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর বুধবার কামরুজ্জামান রাব্বি নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, আমি একজন শিল্পী। আমি শুধু গানটা গেয়েছি। এখন এটা কী আমার অপরাধ? একজন গায়ক হিসেবে আমার আর কী করার থাকতে পারে?

তিনি আরো বলেন, আমি চাইছিলাম সত্যটা প্রকাশ হোক। এবার আমরা সত্যটা জেনেছি। গানটির আসল গীতিকার ও সুরকার টিটু পাগল। এখন থেকে আমি যেখানেই গানটি গাইব, নিশ্চয় টিটু পাগলের নাম বলব।