অক্ষয় ও টাইগার শ্রফের সিনেমার ট্রেলার শেয়ার দিলেন সালমান

২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ছবি হলো ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’। ট্রেলারেই স্পষ্ট যে এই ছবি অ্যাকশনে ভরপুর। আর বাস্তবে অক্ষয় ও টাইগার দুই অভিনেতাই মার্শাল আর্টে দক্ষ। এ দুই অভিনেতা এমন একটা অ্যাকশন প্যাকড ছবিতে ঠিক কী কী করতে চলেছেন তা জানতে উদগ্রীব সিনেমাপ্রেমীরা।

এই ছবির পরিচালক আলী আব্বাস জাফর। আলী আব্বাস জাফরের সঙ্গে ‘সুলতান’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন সালমান খান। ইনস্টাগ্রামে ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’র ট্রেলার শেয়ার করে প্রশংসা করেছেন বলিউডের ভাইজান। ছবিতে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ।

ছবির ট্রেলার শেয়ার করে সালমান লিখেছেন, ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ, আক্কি এবং টাইগার ছবিটি খুব বড় হিট হবে। খুব ভালো ট্রেলার। আলী এটার মাধ্যমে তোমাকে টাইগার এবং সুলতানের রেকর্ড ভাঙতে হবে। আশা করি, ভারত এবং আপনারা একে অপরের সঙ্গে ইদে মাত করবেন।

আলী আব্বাস জাফরের প্রিয় বন্ধু ক্যাটরিনা কাইফ। তিনিও পরিচালকের আসন্ন সিনেমার প্রশংসা করেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ট্রেলারটি শেয়ার করে ক্যাটরিনা কাইফ লিখেছেন, ‘বন্ধু আলী আব্বাস জাফর…আশ্চর্য লাগছে…। এই ইদে আসবে। তোমার জন্য খুব গর্বিত…দারুণ ব্যাপার।অক্ষয় আগুন লাগিয়ে দিয়েছ। টাইগার শ্রফ অসাধারণ।’

মঙ্গলবার ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফকে ভারতীয় সেনা অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে ট্রেলারে। আর দেশের ভয়ানক শত্রুর অবতারে যাঁর মুখ দেখা যাচ্ছে না, সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। ট্রেলারে পরিচয় ও চেহারা গোপনে রাখা পৃথ্বীরাজকে একজন সাইকোপ্যাথ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ চুরি করেছেন। আর সেই অস্ত্র তিনি মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমন ভয়ানক শত্রুর সঙ্গে লড়াই করবে ভারতীয় সেনা। এখানে সেনাপ্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণিত রায়। যিনি শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য তাঁর টিমের দুই সেরা সেরা অফিসারদের নিয়োগ করেন।

ট্রেলারে গুলির লড়াই, বোমা বিস্ফোরণ, যুদ্ধের দৃশ্য সবই উঠে এসেছে। ট্রেলারে দেখা গেল মানুষী চিল্লার ও আলিয়া এফকে। যাঁরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর আন্ডারকভার অ্যাসেট এবং আইটি বিশেষজ্ঞের চরিত্রে অভিনয় করছেন। যাঁরা লড়াইয়ে অক্ষয় ও টাইগারকে সহযোগিতা করবেন। ট্রেলারে অক্ষয়-টাইগারকে দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের বলতে শোনা গেল ‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বের জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে পারি আবার একে অপরের জীবনও নিতে পারি।’