খালেদার তিন মামলা রোববারের কার্যতালিকার শীর্ষে

কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে করা দুটি এবং নড়াইলের মানহানির পৃথক অপর মামলাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন হাইকোর্টের রোববারের কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে।

রোববারের কার্যতালিকায় দেখা যায়, খালেদা জিয়ার তিনটি আবেদনই শুনানির জন্য বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের কার্যতালিকার এক থেকে তিন নম্বরে রয়েছে।

কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি ওই দিনই শেষ হয়। রোববার এই মামলায় জামিন আবেদনের উপর আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করেন আদালত। কুমিল্লায় অপর একটি নাশকতার মামলা এবং নড়াইলে মানহানির মামলায় আগামীকাল শুনানি অনুিষ্ঠত হবে।

আদালতে সেদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল প্রমুখ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মো. বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানা।

এর আগে গত ২২ ও ২৩ মে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন।

এখন কুমিল্লার নাশকতার মামলা ও নড়াইলে মানহানির মামলায় শুনানি শেষ হলে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন।

এ ছাড়াও আগামী ২৮ মে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সমগ্র জাতির মানহানি এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে করা দুটি পৃথক মামলায় খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হবে।

গত ২২ মে আদালতের অনুমতি নিয়ে জামিন আবেদন দায়ের করার পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দুই মামলার শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য এসব মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পাশাপাশি ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে আদালত ইতোমধ্যেই হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।