ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: শনিবার যশোরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার দুপুর থেকে যশোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আর সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যশোর জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সর্বত্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। ফণী মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে যশোর প্রশাসনের।

শনিবার এ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

যশোরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যাতে মারাত্মক ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয় এজন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ফণী মোকাবেলায় জেলার সব ইউনিয়নে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে আট উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি। আর ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুদ রাখার পাশাপাশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত অর্থ।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, ফণীর কারণে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে জেলার সর্বত্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। গত কয়েক দিন ধরে ফণী মারাত্মক ফণা তুলতে পারে এমন খবরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করে। এজন্য শুক্রবার দুপুরের পর পরই মানুষ বাইরে চলাচল বন্ধ করে দেয়। একেবারেই গুরুতর কোনো বিষয় ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসেনি। সন্ধ্যার পর যকোনো সময় আঘাত হানছে ফণী আবহাওয়া অফিসের এমন খবরে বাইরে বের হওয়া মানুষজনও কাজ শেষে দ্রুত বাড়ির পথে রওনা হয়।