ধর্ষক গুরুর সাজা ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ভারত

গোটা ভারতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে হরিয়ানা রাজ্যের রোহতাক এবং সিরসায়। রোহতাক কারাগারে রোববার আদালত বসিয়ে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে দোষী ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা ঘোষণা করা হবে।

গত ২৫ আগস্ট গুরমিতকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার ভক্তরা রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চালায়। এতে ৩৮ জন নিহত হন। আর ৯ শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়। সেদিক বিবেচনায় নিয়ে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

দুই সহকারীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে উড়ে আসবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইর বিশেষ আদালতের বিচারপতি জগদীপ সিং। এরপর স্থানীয় সময় দুপুর দুইটার দিকে রোহতাক কারাগারে সাজা ঘোষণা করা হবে।

বিচারপতিদের নিরাপত্তার জন্য হরিয়ানা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের হাইকোর্ট। জেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়, জেলের মধ্যে বিচারপতি ও দু’পক্ষের আইনজীবীরা যাতে আদালতের মতো সুযোগ-সুবিধা পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে, সাজা ঘোষণার পর যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করার জন্য শনিবার রাত থেকেই রোহতাকে ১০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

রোহতাকের ডেপুটি কমিশনার অতুল কুমার জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই রোহতাকে সেনা পৌঁছে গেছে। রোহতাক সীমান্ত এলাকায় তৈরি করা হয়েছে পুলিশের তল্লাশি ফাঁড়ি।

তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য সাজা ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

এরই মধ্যে রোহতাক জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ রোহতাকে ঢুকতে পারছেন না। রোহতাকমুখী বাস ও ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চণ্ডিগড় থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে সিরসার ডেরা স্বচ্চা সাউদা। যেখানে গুরমিতের অন্তত ৩০ হাজার অনুসারি রয়েছেন। তারাই সেদিন ১০০ বাসে করে গিয়ে রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন।

তবে রোববার থেকেই এই অনুসারিদের ডেরার বাইরে বের হতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ৭০০ একর ডেরা এলাকায় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।