বন্ধ হচ্ছে মোহাম্মদপুরের সেই ২ হাসপাতাল

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দুটি হাসপাতাল বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল এবং শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

হাসপাতাল দুটির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর সংশ্লিষ্ট রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

প্রসঙ্গত, মোহাম্মদপুরের অনুমোদনহীন ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেয় উচ্চ আদালত।

‘৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড, বাবর রোড ও খিলজি রোডের অনুমোদনহীন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হলো- বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, পাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।

পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। আজ সেই অবেদনের শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।