বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

নির্বাচনী তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে। আগামী ১৪ মে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। ১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অর্ডারের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়নি। এই অর্ডারের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন বারে ভোটার হবেন, এ জন্য লিখিত অপশন দিতে হবে। অপশন না দিলে তিনি মাদার বারের সদস্য নন। কিন্তু বার কাউন্সিলে অপশন না দিয়ে মাদার বারের ভোটার না করে, সুপ্রিমকোর্ট বারের ভোটার করা সাংঘর্ষিক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ থাকায় নির্বাচন স্থগিত হয়। তিন মাস পর ওই বছরের জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া রিট আবেদনে দুই প্যানেলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সাদা প্যানেল ও নীল প্যানেল দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে। যা সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৭, ১৯, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া বার কাউন্সিল আইনের ৬২ (২) ধারাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে আইনজীবীদের শপথ ভঙ্গ হচ্ছে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ জানান, বার কাউন্সিল আইনের অনুচ্ছেদ ৫(১)-কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছদ অনুযায়ী প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বার কাউন্সিল আইনের ৫(১)(এ) অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন ছাড়াই চেয়ারম্যান। যা সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ, প্রস্তাবনা, ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।