যশোর রোডের গাছ কাটা স্থগিত করলো ভারতের হাইকোর্ট

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থলপথ সংযোগকারী যশোর রোডের প্রাচীন গাছ কাটার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। যশোর রোডের ধারে গাছ কাটা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত।

সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য যশোর রোডের ভারতীয় অংশে ৩৫৬টি প্রাচীন গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় দেশটির পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম বি লকুড় ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানি শেষে শীর্ষ আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থলপথ সংযোগকারী যশোর রোডের ধার থেকে গাছ কাটার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা করা হয়েছিল। ওই কমিটির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শামীম আহমেদ এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

গত ৩১ আগস্ট যশোর রোডের গাছ কাটার অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ যশোর রোড সম্প্রসারণের কারণে রোডের ধার থেকে প্রাচীন গাছ কাটার পক্ষে রায় দেন। উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী এই যশোর রোডের বারাসত থেকে বনগাঁর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাঁচটি রেল ওভারব্রিজ তৈরি করার পরিকল্পনা করে। এরজন্য যশোর রোডের ধার থেকে প্রায় ৩৫৬টি গাছ কাটা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দুই দেশের পণ্য পরিবহন হয় এবং যাত্রী যাতায়াত করে। সেই ক্ষেত্রে রাস্তাটির সম্প্রসারণ প্রয়োজন। কিন্ত এসব গাছ কাটতে দিতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা এবং একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। সেই মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্ত সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার যশোর রোড সম্প্রসারণের কারণে ওই ৩৫৬টি গাছ কাটতে পারবে। তবে যত গাছ কাটা হবে তার পাঁচগুণ গাছ লাগাতে হবে রাজ্য সরকারকে।

কলকাতা হাইকোর্টের ওই রায়ের পরই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো।