সুপ্রভাতের মালিক ননী গোপাল ৩ দিনের রিমান্ডে

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দেয়া সুপ্রভাত পরিবহনের মালিক ননী গোপাল সরকারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কন্ডাক্টরকে বাস নিয়ে পালানোর নির্দেশ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন ননী গোপাল।

গত ১৯ মার্চ সকালে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।

১৯ মার্চ ভোরে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকে ভোর পৌনে ছয়টার দিকে গন্তব্যে রওনা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫)। রাজধানীর শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় প্রথমে মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর বাসের যাত্রীরা চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান: এসময় উপস্থিত জনতা বাসের ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কায় বাস মালিক ননী গোপালের নির্দেশে ড্রাইভিং সিটে বসেন কনডাক্টর ইয়াছিন। কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা স্বত্ত্বেও বাস নিয়ে দ্রুত পালানোর সময় নর্দ্দা এলাকা পার হতেই বিইউপি শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দিয়ে হত্যা করে।

হত্যার পর ইয়াছিন বাসটি রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার একটি ইটের ভাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে মধ্যবাড্ডা থেকে বাসের হেলপার ইব্রাহিমকে প্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইয়াছিন প্রাথমিকভাবে বাসচাপা দিয়ে আবরারকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান আব্দুল বাতেন। তখন থেকেই ডিবির নজরদারীতে ছিলেন বাস মালিক ননী গোপাল।