৪ আ.লীগ কর্মী খুনের দায়ে বিএনপির ২২ কর্মীর ফাঁসি

২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মী হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। এদের মধ্যে ২২ জন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। আর প্রধান আসামি আবুল বশর মামলা চলাকালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আবুল বাশার কাশু, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু কালাম, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, জহির উদ্দিন, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই, খোকন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।

রায় ঘোষণার সময় কারাবন্দি ১৯ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন। এর আগে গত ৪ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আজ বুধবার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী বারী ভুইয়া ও খোরশেদ আলম মোল্লা।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১২ মার্চ বর্তমান আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বারেক, ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগের কর্মী ফারুক ও কবীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে তৎকালীন গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশু ও তার লোকজন।

এ ঘটনায় ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন।