আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার আসামি আমির হোসেন আমু।

তাকে আজই আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার ঝালকাঠির বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলাকালে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী শমী কায়সার। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে একজন আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ২৯ অক্টোবর মামলাটি রুজু হয়। মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার হন শমী কায়সার। তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন।

গত ১৪ আগস্ট ই-ক্যাব থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। এ ছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির।

শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।