বাগেরহাটের শরণখোলায় বাবার সাথে অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
বাগেরহাটের শরণখোলায় অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শেষে নানা বাড়ি বেড়াতে যেতে না দেয়ায় বাবার সাথে অভিমান করে সপ্তম শ্রেনীর স্কুল পড়–য়া ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ১৬ জুন সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়ার কালিবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মো. ইয়াসিন ফকিরের কন্যা ও আমড়াগাছিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী তামান্ন আক্তার (১৩) এর স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা গত ১৫ জুন শেষ হওয়ায় নানা বাড়ি বেড়াতে যাবার বায়না ধরে। কিন্তু জীবন জিবীকার তাগিদে তামান্নার বাবা নোয়াখালী অবস্থান করায় তামান্নার মা সামছুন্নাহার বেগম মেয়েকে বাবার অনুমতি নেয়ার কথা বলে। মোবাইল ফোনে তামান্না বাবার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাড়িতে আসলে তারপরে বেড়াতে যাবার কথা বলায় অভিমানে ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের মা সামছুন্নাহার বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে তামান্নাকে বাড়িতে রেখে স্থানীয় আমড়াগাছিয়া বাজারে সাংসারিক কেনা কাটা করতে যাই। প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে জানালা দিয়ে তাকালে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে, প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) সুব্রত কুমার সরদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আসল রহস্য উদঘাটন হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন