শিল্প মন্ত্রণালয়ের এপিএ বাস্তবায়ন ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়ন পুরস্কার এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত সংস্থা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থাসমূহের মধ্যে এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ)।
এছাড়া, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান (সংশোধন) নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ০৪(চার)টি ক্যাটাগরিতে মোট ০৮(আট) জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করা হয়। ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধান’-ক্যাটাগরিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-২ হতে গ্রেড-৯ ভুক্ত কর্মকর্তা’-ক্যাটাগরিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো: সাইফুল ইসলাম; ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-১৬ ভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী’-ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমল চন্দ্র বিশ্বাস, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মেদ এবং ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১৭ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত কর্মচারী’ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে অফিস সহায়ক মো: মশিউর রহমান, মোছা: রাশিদা বেগম এবং মো: দেলোয়ার হোসেন শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা কোভিড পরিস্থিতি সামলে উঠেছি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের উপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তাও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো বলে আশা করি।
এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে ভাল কাজের প্রতিযোগিতা থাকা জরুরি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আপনারা আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে বিএসটিআই এর মাধ্যমে আরও বেশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বিটাক ও এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ-কে তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও উদ্যোক্তা তৈরিতে আরও তৎপর হতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন