হজের পর মদিনার ইবাদত-বন্দেগি
ইবাদতের নিয়তে পৃথিবীর তিনটি স্থানের ভ্রমণে রয়েছে অত্যাধিক ফজিলত। তার মধ্যে মদিনা মুনাওয়ার তখা মসজিদে নববি একটি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ উপলক্ষ্যে এ পবিত্র মসজিদে মুসলিম উম্মাহর সমাবেশ ঘটে।
মুসলিম উম্মাহর যে সব হজযাত্রী হজ ও ওমরা পালনে প্রথমে মক্কায় অবস্থান করেছেন। হজের পর তাঁরা দু’এক দিনের মধ্যে মদিনায় গমণ করেন। সেখানে ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত করেন। প্রিয়নবির রওজা জিয়ারতে তৃপ্ত হন।
সেখানে নামাজের সাওয়াব অত্যাধিক। পবিত্র মসজিদে নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।
তাছাড়া মদিনার রয়েছে অনেক বৈশিষ্ট্য ও হারামের সুনির্দিষ্ট সীমানা। যেখানে কোনো অন্যায়, হত্যা বা শিকার ইত্যাদি এর হারাম সীমানায় করা যায় না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার বরকতের জন্য দোয়া করেছেন, একে হারাম বা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। মসজিদে নববি তথা মদিনা শরিফে ইবাদতের ফজিলত তুলে ধরা হলো-
>> মদিনার মসজিদে নববিতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, মসজিদে হারাম (বাইতুল্লাহ) ছাড়া অন্য যে কোনো মসজিদে এক হাজার ওয়াক্ত নামাজের সমান সওয়াব রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
– হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে অন্যান্য মসজিদ থেকে এক হাজারগুণ বেশি সওয়াব রয়েছে। তবে মাসজিদে হারাম (বাইতুল্লহ) ব্যতিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মাঝখানে জান্নাতের একটি বাগান আছে। আর আমার মিম্বার আমার হাউজের উপর অবস্থিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল হজ ও ওমরা পালনকারীকে মদিনা শরিফ জিয়ারাতকালে মসজিদে নববিতে ফরজ নামাজের পাশাপাশি সুন্নাত ও নফল নামাজসহ অন্যান্য ইবাদাত বন্দেগি নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন