আজমীরগঞ্জে খাজা মঈন উদ্দিন চিশতীর ৮০৯ তম ওরশ উদযাপিত
জামালপুরের বকশীগঞ্জে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে প্রখ্যাত সূফি সাধক ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহের দুই দিনব্যাপী ৮০৯ তম ওরশ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ওরশে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে।
হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহের ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনব্যাপী ওরশ শুরু হয়।
ওরশে এক তালে বাজনা, ওয়াজ মাহফিল, দরুদ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নিবেন হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহের ভক্ত ও প্রেমিকরা।
শুকবার ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনের ওরশ। এবারে খাজা তহিদুল্লাহর নেতৃত্বে ওরশের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী সুলতানুল আউলিয়া হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১১৩৮ ইংরেজি- ৫৩৭ হিজরীতে মধ্য এশিয়ায় খোরাসানের অন্তর্গত সিস্তান রাজ্যের সানজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দীন, মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহেনুর।
পিতার দিকে তিনি শেরে খোদা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর চতুর্দশতম এবং মাতার দিকে তিনি খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর দ্বাদশতম বংশধর। মাতৃকুল হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু ও পিতৃকুল হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত যাওয়ায় তিনি বংশে হাসানী-হোসাইনী আওলাদে রাসুলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার অশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী। তদুপরি তিনি উভয়দিকে অলিকুল সম্রাট গাউছুল আজম হযরত বড়পীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বংশধর। পিতৃকূল ও মাতৃকূল উভয় দিক থেকে।
বস্তুত এসব কারণেই তিনি আল্লাহ প্রদত্ত অলৌকিক শক্তি বলে কামালিয়াতের উচ্চতম শিখরে আরোহণ করেছিলেন। পরে স্বপরিবারে খোরাসান শহরে (বর্তমান আফগানিস্তান) হিজরত করেন। মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে বাবা – মা উভয়কেই হারান।
হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬৩৩ হিজরীর ৫ই রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ই রজব সুবহে সাদেকের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ওফাতের সাথে সাথে তাঁর পবিত্র কপাল শরীফ- এ স্পষ্টভাবে আরবীতে স্বর্ণোজ্বল নুরানী অক্ষরে লিখা হয়ে যায় “হাযা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ” অর্থাৎ ইনি আল্লাহর বন্ধু, আল্লাহর মুহব্বতেই তিনি বিসাল লাভ করেছেন।
গরীবে নেওয়াজের বড় সাহেবজাদা হযরত খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন