আমাকে ফাঁসানো হয়েছে : হিরো আলম

ঘটনার পরপরই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরদিন পুলিশ সালিসের নামে থানায় ডেকেছে, আমি ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের ডাকে বুধবার রাতে স্বেচ্ছায় থানায় এসেছি। অথচ আমার কথা পাত্তা না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির চাপে শ্বশুরের সাজানো অভিযোগটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু অদৃশ্য চাপে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বগুড়া সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম সকালে এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় বুধবার রাতে গ্রেফতার হন হিরো আলম।

হিরো আলম বলেন, আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে।