আমির খসরুর সঙ্গে ফোনালাপকারী সেই নওমি আটক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নেয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা নাওমি পরিচয় দেয়া সেই তরুণ আটক হয়েছেন।

তার পুরো নাম মিলহানুর রহমান নওমি। রবিবার ভোরে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দেওড়া গ্রামের ফুফুর বাড়ি থেকে নওমীকে তুলে নেয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

মিলহানুর রহমান নওমী সিটি করপোরেশনের ২০ নং কাউন্সিল এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার উনাইসা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহামানের ছেলে। সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও অতীতে তিনি জামায়াতের রাজনীতি করতেন।

শনিবার দুপুরে আমীর খসরু সঙ্গে নওমি নামের ওই যুবকের ফোনালাপের একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।

এই রেকর্ডে আমির খসরুর কণ্ঠে বলা হচ্ছিল, এই আন্দোলনে দুই, চারশ পাঁচশ মানুষ যেন নেমে যায়। আর দেরি করলে আন্দোলন ডাই ডাউন (কমে যাবে) বলেও সতর্ক করা হয়।

নওমি জানান, তিনি এই ব্যবস্থা করছেন, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

আমির খসরু এই কথোপকথনের কথা অস্বীকার করেছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তবে কুমিল্লা পুলিশ নওমিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে।

এই ঘটনার পর শনিবার রাতেই চট্টগ্রামে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।

নওমীর বাবা সিদ্দিকুর রহমান জানান, সপ্তাহ খানেক পূর্বে নওমী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে পরিবারিক একটি বিবাহ অনুষ্ঠানের কাজে। শনিবার সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার দেওড়া গ্রামের ফুফুর বাড়িতে যায় তাদেরকে দাওয়াত করতে। সেখানে নওমী রাতে থাকে। শনিবার রাত চারটায় একদল ডিবি পুলিশ আমার বাড়িতে আসে। এসে তার চাচা ফরিদুর রহমানকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ফুফুর বাড়ি থেকে নওমীকে তুলে নিয়ে আসে। তারপর আর চাচা ফরিদগুর রহমানকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ডিবি পুলিশ নওমীকে গাড়ি করে ঢাকায় নিয়ে যায়।

নওমীর চাচা ফরিদুর রহমান জানান, ‘ডিবি পুলিশ আমাকে প্রথমে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তারপর পর আমি নওমীর খোঁজ দিলে ফুফুর বাড়ি থেকে নওমীকে তুলে এসে আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দেয়। তারা আমাকে বলেছে তারা ডিবি পুলিশের সদস্য ঢাকা থেকে এসেছে।