আরব দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে সৌদিআরবে পৌঁছিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট
তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে চীনের নেতা শি জিনপিং বুধবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
তার দেশের জ্বালানি সরবরাহের জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিং তার কঠোর করোনাভাইরাস ব্যবস্থার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বুধবার সৌদি ও চীনের পতাকা উড়ছিল। তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর, তাকে সম্মান জানিয়ে বিমান উড়ে। তিনি তার রাষ্ট্রীয় বিমান থেকে হাত নাড়ান এবং পরে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসা সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে হাতে হাত মিলাতে নেমে আসেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্য অঞ্চলে তার মনোযোগ সরিয়ে নেয়াতে উপসাগরীয় আরব দেশগুলি তাদের পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিবেচনা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ – এবং মস্কো সম্পর্কে পশ্চিমাদের কঠোর অবস্থানের কারণে আরব দেশগুলি চীনের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাইছে।
এই সফরে শি চীন-আরব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেবেন। তাছাড়া সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন একটি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন বলে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বুধবার একটি দৈনিক ব্রিফিংয়ে সংবাদদাতাদের বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি “চীন ও আরব বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ঘটনা এবং চীন-আরব সম্পর্কের ইতিহাসে তা একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে উঠবে।”
বৈঠকটি সেই পর্যায়ে পৌঁছাক কিংবা না-ই পৌঁছাক , শি জানেন তিনি অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ চান। চীন, বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক। সৌদি তেলের উপর তারা ব্যাপকভাবে নির্ভর করে, এবং বছরে প্রায় দশ হাজার কোটি ডলার এর তেল ক্রয় করে । বৈঠকটির সাফল্য অপরিশোধিত তেলের সরবরাহের উপরও অনেকটা নির্ভর করবে।
চীনের তেল ক্রয়ের বাইরেও, এর নির্মাণ দক্ষতাকে প্রিন্স মোহাম্মদের লোহিত সাগরের ৫০ হাজার কোটি ডলারের ভবিষ্যত শহর নিওমের জন্যও ব্যবহার করার সম্ভাবনা আছে। চীনা নির্মাণ সংস্থাগুলি পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলিতে, বিশেষত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতেও কাজ করেছে।
ইসলামের পবিত্রতম স্থান সৌদি আরব চীনকে উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের কঠোর নীতিকে এক ধরণের রাজনৈতিক সুরক্ষা দিয়েছে।
মহামারীতে প্রায় সময়টা ব্যয় করার পরে সৌদি আরব সফরটি তার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য শি-এর আরও একটি পদক্ষেপকে চিহিত হচ্ছে। সুত্রঃ ভয়েজ অব আমেরিকা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন