বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ভুটানের সাথে প্রথম পিটিএ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে করে উভয় দেশ বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় সচিবালয়ের অফিস কক্ষে ভুটানের রাষ্ট্রদূত Rinchen Kuentsy -এর সাথে মতবিনিয়কালে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীগণ বাংলাদেশে মেডিকেল, প্রকৌশল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে থাকে। তিনি এর পরিসর আরো বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভুটানের সহায়তা কামনা করেন।

ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ভুটান বাংলাদেশে কমলালেবু রপ্তানি করে থাকে। এখন ফলের মৌসুম। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে ফল আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। ভুটান উন্নতমানের মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ভুটান মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করতে আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, সোনাহাট স্থল বন্দর ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর দিয়ে ভূটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্য সহজ হবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।

গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ভূটানে ৯.৫৬ মিলিয়ন মর্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৩৫.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।