আস্থা ও ভরসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা : জাহিদ ফারুক

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙন মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। এসব দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। নদীর তীঁর রক্ষা বাধেঁরও যত্ন ও রক্ষার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে নদী আমাদের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের স্বজন তাই নদী ভাঙ্গনরোধ এবং ভাঙ্গন কবলিতদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই নদী ভাঙ্গন কবলিতদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। আস্থা ও ভরসার প্রতিক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নদী ভাঙা ও বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০নভেম্বর) লক্ষীপুরের লুধূয়ায়,পাটোয়ারীর হাট,রামগতি উপজেলার ৪নং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের উত্তর বালুর চর,৬নং চর আলগী ইউনিয়নের মধ্য চর আলগী এবং ৯নং চর গাজী ইউনিয়নের ভয়ার চর এলাকার টাংকীতে মেঘনা নদীর তীর পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তেমনি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি,সরকারী-বেসরকারী অসংখ্য স্থাপনা,হাট-বাজার,নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, মসজিদ ও গাছপালা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নদীরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া নদী শাসন ও স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। একটি উন্নত রাষ্ট্র বির্নিমানে বন্যা,নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে শতবর্ষী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে । এই প্রকল্পের ফলাফল রচিত হবে ৫০ থেকে ১০০ বছরের একটি সমন্বিত এবং টেকসই পরিকল্পনার কাজের উপর ভিত্তি করে। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য, আমাদের নিরাপদ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা।

তিনি আরো বলেন,অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উন্নত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাই পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ যেন নিরাপদে থাকে। প্রকল্প সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মান বদলে যাবে। ভাঙন প্রতিরোধে একদিকে নদী শাসন ও আরেক দিকে নদীতে ড্রেজিং অব্যাহত রয়েছে। মেঘনা নদী এমনভাবে ভাঙছে এতে যমুনার তীরে স্থাপনা,বসতভিটা,ফসলি জমি ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যে যে স্থানে ভাঙছে সব জায়গাতেই শক্তিশালী টেকসই বাঁধ দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বাংলাদেশে দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

প্রতিমন্ত্রী নদী ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না। নির্ধারিত বালু মহাল ছাড়া অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সন্ধ্যার পরে কোনো মতেই বালু উত্তোলন করা যাবে না। এব্যাপারে মিডিয়ার শক্তিশালী ভূমিকার রয়েছে।

উল্লেখ্য লক্ষীপুরের রামগতি ও কমলনগরে ৩ হাজার ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর)আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.)আব্দুল মান্নান,অতিরিক্ত সচিব(পরিকল্পনা)এসএম রেজাউল মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদসহ। আরো উপস্থিত ছিলেন বাপাউবো লক্ষ্মীপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী,ফারুক আহমেদ,উপজেলা চেয়ারম্যান, শরাফ উদ্দিন আজাদ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।