সাহারার আসনে হাবিব, নাসিমের আসনে ছেলে জয় নৌকার প্রার্থী

সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনের উপ নির্বাচনে হাবিব হাছানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ, আর মোহাম্মদ নাসিমের সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন তার ছেলে তনভীর শাকিল জয়।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

ঘোষিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এর আগে ২০০৮ সালেও তার বাবার আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
আর হাবিব হাছান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আর সভাপতিমণ্ডলির আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর গত ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয়।

আগামী ১২ নভেম্বর এ দুই আসনের উপ নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে।

আগ্রহীরা ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। ১৫ অক্টোবর বাছাই শেষে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে।

এর আগে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে আগামী ১২ নভেম্বর ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তফসিল অনুযায়ী, এ দুই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীরা ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ অক্টোবর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ অক্টোবর।

ইসির সিনিয়র সচিব আলমগীর বলেন, ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হয়েছিল। সংবিধানে আসন শূন্য হওয়ার প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা আছে। করোনার কারণে এই সময়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেনি ইসি। পরে নির্বাচন কমিশন আরও ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে এই ৯০ দিন অতিক্রম করার সুযোগ সংবিধানে ইসিকে দেয়া হয়নি।

সচিব বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ভোটের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মেনেই ভোটের আয়োজন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো আছে, সবই মানা হবে দুই উপনির্বাচনে। কিছু ব্যতিক্রম আছে, সেটা হল ঢাকায় আগে নির্বাচন করলে যান চলাচল সব বন্ধ রাখা হতো। এবার তা করা হবে না। কোন কোন যানবাহন চলবে, কোন কোন যানবাহন চলবে না- সেটি পরিপত্র জারি করবে কমিশন। একই সঙ্গে এ আসনের নির্বাচনী এলাকার অফিস খোলা থাকবে।