বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় সবাই খালাস

প্রায় তিন দশক আগে ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আডবানীসহ ২৮ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছে উত্তর প্রদেশের একটি আদালত।

বিচারক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ওই ঘটনা ‘পরিকল্পিত ছিল না’।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দু ‘করসেবকরা’ অযোধ্যার ৫০০ বছরের পুরনো মসজিদটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, ২৮ বছর আগে ১৯৯২ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের সবাইকে খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুধবার এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন পর রায় ঘোষণা করছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌউয়ের বিশেষ আদালত।

ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তৎকালীন নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানীর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে দফায় দফায় রথযাত্রা হয়। এই রথযাত্রা থেকে ষোড়শ শতাব্দীর অন্যতম এই মুসলিম স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। কট্টরপন্থী করসেবকরা মসজিড় গুঁড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপর দেশটিতে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। এতে প্রাণ যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের।

উত্তরপ্রদেশের এই মসজিদ ধ্বংস বদলে দেয় ভারতের রাজনীতি। মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও শীর্ষ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানী, মুরালি মনোহর যোশী, সাবেক মন্ত্রী উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

প্রায় আড়াই যুগ পর বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। কিন্তু আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির অভিযুক্ত শীর্ষ এই নেতারা।

লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব রায়।

রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি পান লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিংহ, সতীশ প্রধান এবং রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান নৃত্যগোপাল দাস। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন।

এদিকে, বাবরি ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন বিচারক। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার