ইউজিসির ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’র জন্য মনোনীত কুবি শিক্ষক
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পোস্ট ডক্টোরাল ফেলেশিপ-২০২২ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি ‘বাংলাদেশে ত্রিপুরা জন-জাতির সাহিত্যচর্চা’- বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য এই ফেলোশিপ পেয়েছেন।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হালনাগাদ তালিকা থেকে বিষয়টি জানা যায়। ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ড. স্বরোচিষ সরকার এর তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা করবেন।
অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান তার গবেষণার বিষয় সম্পর্কে বলেন, ত্রিপুরা জাতির প্রধান বাস ছিল এখনের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। যখন এই বঙ্গ একসাথে ছিলো তখন ত্রিপুরার রাজারা বঙ্গ শাসন করেছেন প্রায় ৬০০ বছর। তারা ককবরক ভাষায়, তাদের নিজেদের ভাষায় সাহিত্য চর্চা করেছেন৷ আর বাংলা ছিলো তাদের দ্বিতীয় মাতৃভাষা। তখন বাংলায়ও তারা সাহিত্যচর্চা করেছেন। এই যে সাহিত্যচর্চা করেছে, এই বইপুস্তকগুলো সংগ্রহ করা, তালিকা তৈরি করা, কী বিষয়ে তারা সাহিত্য চর্চা করেছে- এই বিষয়ে আমার গবেষণা।
চলতি বছরের ২০ জুলাই পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রদানের লক্ষ্যে সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী কলেজের শিক্ষকগণের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করেন ইউজিসি। এক বছরে সর্বাধিক ১০ জনকে ফেলোশিপ প্রদানের লক্ষে চলতি বছরের ২১ আগস্টের মধ্যে ডাকযোগে বা ইমেইলে প্রেরণ করার জন্য আহ্বান করা হয়।
এই ফেলোশিপে মনোনীত হওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। কারন, গবেষণা বিষয়ে আমার যে স্বপ্ন ছিলো তার মাঝে অন্যতম এটা। এর মাধ্যমে গবেষণার বিষয়ে আমার তৃপ্তিটুকু পূর্ণ হলো। তিন বছর চেষ্টার পর এ বছরে ইউজিসি থেকে আমি এই সুযোগটি পেয়েছি।
ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাবেন। একইসাথে গবেষণার জন্য বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে থেকে কাজ করবেন তিনি। ঐসময়ে এক মাস বিদেশে থাকার যাবতীয় খরচ বহন করবে ইউজিসি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাংলা বিভাগের সিলেবাসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী বিষয়ক একটি কোর্স আছে। এই কোর্সটি আমি পড়াই। আমি যদি এই বিষয়ে গবেষণা করি, শুধু বাংলাদেশে যে একটা দিক উন্মোচন হবে বা একটা জনজাতি বঙ্গদেশে অবস্থান করে যে সাহিত্যচর্চা করেছিলো তার যেমন একটা ইতিহাস বা ডাটা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে, ঠিক তেমনি আমি যে জ্ঞান অর্জন করব এ গবেষণা থেকে সেটা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়ন ও বিভাগেও কাজে লাগবে৷ তাছাড়া, আমি প্রত্যাশা করবো যেন এমন গবেষণার সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা পেয়ে থাকেন৷ শিক্ষার্থীরাও যাতে এটাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে পেয়ে থাকেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন