ইতিহাস বহন করে চলেছে ভারতীয় সীমান্তরেখা সাতক্ষীরার কলারোয়ার সোনাই নদী

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গা ঘেঁষে বয়ে গেছে “সোনাই নদী।”

ওপারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার, স্বরূপনগর থানার তারালী, হাকিমপুর, দহারকান্দা, আসশিকড়ি গ্রাম। এপারে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি, কুটিবাড়ি, গাড়াখালী, ভাদিয়ালী, রাজপুর, চান্দা, বড়ালি গ্রাম।

নদীর দুইপাড়ে রয়েছে ইতিহাস খ্যাত কিছু মসজিদ,মন্দির- ধাম। বিভিন্ন মেলা-পার্বণে দুইপাড়ের মানুষের ছিল অবাধ যাতায়াত। এক সময়ের প্রমত্তা এই নদীর যৌবন পার হয়েছে সে অনেকদিন আগেই।

দেশবিভাগের সময়ে রেডক্লিফ সাহেবের কলমের দাগ দুইপাড়ের মানুষের যোগাযোগে দাগ টেনে দিয়েছে। এখন আর মেলা-পার্বণে ওপাড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভাষা কি আর আটকে রাখা যায়? নদীটি এতই সরু যে দুইপাড়ের (দুইদেশের) মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প স্বল্প পর্যন্ত করতে পারে!

নদীর দুইপাড়ের মানুষের মধ্যে এই হৃদ্যতার আবেগে ঠেলে ভিন্নদিকে যাই। অবৈধ চোরাচালানে দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে এখানে নাকি রয়েছে অবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক!

আবার সোনাই নদীতে ফিরে আসি। বাংলাদেশে মোট ৩ টি নদীর নাম “সোনাই।” এই ৩ টিই আবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী। একটির অবস্থান হবিগঞ্জে, একটি ব্রাহ্মনবাড়িয়ায়, আরেকটি এই সাতক্ষীরায়।