ইবি মেডিকেলে ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্তরা সাময়িক বহিষ্কার

শিক্ষার্থীর কথা মতো এ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যসহ অন্য দুই অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও তাদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের ২০২ নম্বর কক্ষে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

তিনি বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুরের ঘটনায় কাব্য ও তার সহযোগীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করবেন।

এ ঘটনায় বহিষ্কৃত অন্য দুই শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আতিক আরমান ও সালমান আজিজ।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য বুকের ব্যাথার কথা বলে চিকিৎসা নিতে আসে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. ওয়াহিদুল হাসান তাকে ইঞ্জেকশন দেন।

এর আধা ঘন্টা পরে তিনি আবার এসে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স চান। পরে ডাক্তার ছাত্র সংশ্লিষ্ট ঘটনা দেখে তাকে কুষ্টিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে এরই মাঝে শিক্ষার্থীর বহিঃষ্কৃত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এতে এ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা কেন্দ্রের জুরুরী বিভাগের টেবিল চেয়ার ভাংচুর করেন কাব্যসহ তার দুই সহযোগী। পরে ড্রাইভার শাহীনকে দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়। এর আগে প্রক্টোরিয়াল বডির অনুমতি ছাড়া এ্যাম্বুলেন্স দিতে না চাওয়ায় ড্রাইভারকেও মারধর করে কাব্য।

এর আগেও মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছিনতাই, ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কাব্য। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কৃত হোন। এছাড়াও সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিমের সাথে খারাপ আচরণ ও গলায় ছুরি ধরারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।