ইসির সংলাপে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে অংশ নিয়েছে মাত্র ১৩টি!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এতে দেশে মোট ৪৪টি নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি।

আওয়ামী লীগসহ ২২টি দল সংলাপে অংশগ্রহণের কথা ছিলো। তবে সেখানে ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। বাকি নয়টি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি। সংলাপে প্রথম ধাপে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্যান্য কমিশনারা অংশ নিয়েছেন। বিকেলে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে সকাল ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে আসে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগের একাংশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও গণফোরামের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

তবে এলডিপি, বিজেপি কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়নি।

বিএনপি ছাড়াও তাদের জোটের আরও কয়েকটি দল সংলাপে যাওয়ার আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে। এদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টি, জেএসডিও রয়েছে।

কোনো জোটে না থাকলেও সংলাপে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস। জাতীয় পার্টি (জাপা) সংলাপে যাবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ইসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়। তবে ওই সংলাপে বিএনপিসহ ৯টি দল অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সংলাপ অনেকটা অর্থহীন হয়ে যায়।