এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ৬০ শতাংশ

গত এক সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ২ শতাংশ পার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, নভেম্বরে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৪৫। ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৫ জনে।

করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

করোনায় বর্তমানে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০-এর বেশি। তবে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ১১।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সংখ্যা কম। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।

তিনি বলেন, একটা সময় আমরা বলেছিলাম পুরুষরা অনেক বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে ওমিক্রনে পুরুষের চেয়ে নারীর আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। একইসঙ্গে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। এক সময় বলা হতো তরুণদের ইমিউনিটি বেশি তারা আক্রান্ত হবেন না। ওমিক্রন এসে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। শিশুদেরও আমরা আক্রান্ত হতে দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপে।

রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের যে টিকাগুলো দেওয়া হচ্ছে সেটা কোনোটাই ওমিক্রন প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর না। যারা আগে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। বলা হচ্ছে, যারা কোভিড-১৯ এর দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা যেন বুস্টার ডোজ নেন। কারণ বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেড়ে যায় যা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।