এবারও কাউন্সিলর প্রার্থী ভিক্ষুক সমিতির সভাপতি

শেরপুরের নকলা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। যিনি ভিক্ষুক সমিতির সভাপতি ছিলেন। প্রার্থী হয়ে নিজেই মাইকিংসহ চালাচ্ছেন প্রচারণা। বক্তব্য দিচ্ছেন পথে-পথে। এ নিয়ে নকলা পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিক্ষুক আব্দুল হালিমের নিজের কোনো জায়গা জমি নেই। শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্বে ও নকলা শহরের প্রবেশমুখে একটি ব্রিজের নিচে ঝুপড়ি ঘরে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন। তিনি এক সময় উপজেলা ভিক্ষুক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। এবার তিনি জনসেবা করতে চান। তাই নকলা পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।

এর আগেরবারও তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিছু ভুলের কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এবার প্রার্থিতা টিকে গেছে। তবে তার পকেটে নেই টাকা। এ কারণে তার নেই কোনো কর্মীও। এ জন্য তিনি নিজের মাইকিং নিজেই করে বেড়াচ্ছেন। প্রচারণা, লিফলেট বিলি ও পথে পথে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়াসহ দিন-রাত করছেন নির্বাচনী প্রচারণা।

ব্রিজের কাছেই একটি নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করেছেন তিনি। তার স্ত্রী নিজেই চা তৈরি ও মুড়ি ভর্তা করে খাওয়াচ্ছেন ভোটারদের। এ খরচও দিচ্ছে স্থানীয় ভোটাররাই।

নকলা পৌরসভার একজন ভোটার জানালেন, হালিম ব্রিজের নিচেই থাকে, তাই তিনি ব্রিজ মার্কাই চেয়ে নিয়েছে। মার্কাটা পেয়ে বেশ খুশি তিনি ও তার পরিবার।

ভিক্ষুক আব্দুল হালিম জানান, অন্যের সাহায্য নিয়ে মাত্র ৫শ’ পোস্টার ছেপেছেন সেটাও কে-বা কারা ছিড়ে ফেলে। একজন মাইক ভাড়া করে দিয়েছে, আরেকজন দিয়েছেন অটো। এ নিয়ে করে যাচ্ছেন মাইকিং। তিনি নির্বাচিত হলে তার এলাকায় ল্যাট্রিন তৈরি করে দেবেন। কারণ তার থাকার জায়গায় অনেকেই পায়খানা প্রসাব করে। এ থেকে তিনি রেহাইও পাবে, মানুষও তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

আব্দুল হালিমের দাবি, ইতিপূর্বে নির্বাচিতরা এলাকার কাজ করেনি। এবার তিনি নির্বাচিত হয়ে কাজ করবেন। ভিক্ষুকদের যেভাবে সেবা করেছেন সেভাবে সেবা করবেন জনগণের। আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ।