৬০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচরের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ থেকে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনায় রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ নিল এবার। ৬০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের মার্কিন দূতাবাস অফিসও বন্ধ করে দিয়েছে। বিবিসির সংবাদ।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানাচ্ছেন, অন্যান্য দেশের রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনার সমান প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি করা হয়েছে।

গত ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবারির পার্ক থেকে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়েকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধারের পর মস্কোকে দায়ী করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪ মার্চ রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ব্রিটেন সরকার। জবাবে ১৭ মার্চ রুশ সরকার সমানসংখ্যক ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের আদেশ দেয়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১৬টি রাষ্ট্র রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশ থেকে ৬০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের আদেশ দেন। বহিষ্কারের পাশাপাশি সিয়াটলে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসও বন্ধ করে দেয়া হয়। একইভাবে ২০টির বেশি দেশ যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করে।

এর প্রতিক্রিয়ায় মস্কো থেকে ৫৮ জন এবং ইয়েকাতেরিনবার্গ শহর থেকে ২ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এটি করা হয়েছে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য যে সব দেশও রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে তাদের ব্যাপারে একই প্রতিক্রিয়া দেখাবে রাশিয়া, তিনি আরও যোগ করেন।

তবে এ ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার এ প্রতিক্রিয়ায় বুঝা যাচ্ছে অন্যান্য দেশের সাথে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এ ছাড়া রাশিয়া এরকম সিদ্ধান্ত নিতে থাকলে সে ব্যাপারে সতর্কও করে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।