কেশবপুরে পিপাসিত মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি দিলো খেলাঘর আসর

যশোরের কেশবপুর উপজেলা খেলাঘর আসরের আয়োজনে পিপাসিত মানুষের মাঝে সুপেয় ঠান্ডা পানি বিতরণ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের গাজীর মোড়স্ত লেবুর শরবত, স্যালাইন, বিশুদ্ধ সুপেয় ঠান্ডা পানিতে গুলে অন-টাইম গ্লাসে বিতরণ করা হয়।

তীব্র তাপপ্রবাহে গরমে বিপাকে পড়েছে মানুষ। আজ দুপুর থেকে কেশবপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। আর সেই মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে কেশবপুর উপজেলা খেলাঘর আসরের বন্ধুরা। তারা লেবুর শরবত, স্যালাইন, সুপেয় ঠান্ডা পানিতে গুলে অন-টাইম গ্লাসে বিতরণ করেন।

সংগঠনের সভাপতি ও খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ বড় ভাই অনুষ্ঠানের উদ্ভোদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকমল আলী, দপ্তর সম্পাদক সোহেল পারভেজ, সদস্য নাঈম হাসান, সাহাদ হোসেন, শাওয়াল হোসেন, রিমি মন্ডল ও দিঘি প্রমুখ।

এসময় সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, গরমে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। সেই মুহূর্তে কেশবপুর খেলাঘর আসরের এই মহৎ উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সমাজিক সকল সংগঠন ও সামর্থ্যবানরা যদি এভাবে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সোহেল পারভেজ জানায়, অসহ্য গরমে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ঠান্ডা পানি আর শরবত বিতরণ করে মানুষকে একটি স্বস্তি দেয়া চেষ্টা করছি। শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষের মাঝে শরবত বিতরণ করা হয়েছে। পথচারী, ভ্যান-ইজিবাইক চালকরা শরবত খেয়ে স্বস্তি পেয়েছে, আর এতেই আমাদের তৃপ্তি। এভাবে আমরা মানুষের পাসে থাকতে চাই।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকমল আলী বলেন, ‘অসহ্য এই গরমে মানুষকে স্বস্তি দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। অনেকেই আছে যারা চাইলেও এই গরমে বিশুদ্ধ পানি, শরবত কিনে খেতে পারেন না। এছাড়া শ্রমজীবী মানুষ গরমে অস্বস্তিতে রয়েছেন। পথচারী, রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ প্রায় ৩০০ মানুষের মাঝে শরবত, স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। যতদিন এই অসহ্য গরম থাকবে, ততদিন আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’