এমপিওভুক্তির আশ্বাস বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান শিক্ষকরা

এমপিওভুক্তির আশ্বাস বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তারা বলছেন, এর আগে সরকার তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য যে আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা হোক।

গত তিন দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তাদের হাতে রয়েছে দাবিসংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘সেভ আওয়ার চিলড্রেন’, ‘উই ওয়ান্ট এমপিও’, ‘আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে’, ‘নন-এমপিও সংগ্রাম চলছে, চলবে’।

তারা দাবি বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফেরার ঘোষণা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

শিক্ষকরা জানান, গত ২০ মার্চ থেকে সারা দেশের পাঁচ হাজারের বেশি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এখানে অবস্থান করছেন। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি তারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

তারা বলছেন, গত বছর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন চলাকালে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এই শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন-অনশন-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তখন তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। অনশন ভেঙে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছেন।

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একটাই দাবি, সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। যদি এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা হয় তাহলে তিন ধাপে করতে পারে সরকার। তবুও যেন আমাদের এমপিওভুক্ত করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, চলতি অর্থবছর (২০১৮-১৯) থেকে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা হতাশার জায়গা থেকে আবারও এখানে এসেছি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ। যেহেতু উনার প্রতিশ্রুতি আছে, আমরা আশা করি, এর বাস্তবায়ন হবে।