এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২২ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯ হাজার ৫১১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ১২ হাজার ৩৫৭ জন। এবার ছাত্রী বেশি অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৮৪৬ জন।
রবিবার (১২ জুন) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, এ বছর ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৫৯১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। এবার প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র দুই বেড়েছে। তিনি জানান, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। এছাড়া দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিবে। আর এবছর বিদেশের আটটি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে মোট ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওইদিনের পরীক্ষা একদিন এগিয়ে ২৪ জুন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আইনের চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য আগামী ১৫ জুন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টারগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হবে। এমনিতে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকে। তবে যারা গোপনে খোলা রাখেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কোচিং শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর তা আমরা বলছি না। সব শিক্ষার্থীর মেধা এক থাকে না। অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসের বাইরে সহযোগিতা প্রয়োজন। শ্রেণিকক্ষে তাদের সব চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না, তাই তাদের জন্য কোচিং প্রয়োজন রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে কোনো কোনো শিক্ষক মনোযোগ না দিয়ে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোচিং না করলে নম্বর কমিয়ে দেন তা অনৈতিক।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন