বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ

কথায় কথায় নাগরিক হত্যা প্রজাতন্ত্রের সংস্কৃতি হতে পারে না : আ স ম রব

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া না মেনে গুলি করে শ্রমিকদের হত্যা করা একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে আন্দোলনকারীদের হত্যার মাধ্যমে স্তব্ধ করা যায় না – এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

কথায় কথায় নাগরিক হত্যা প্রজাতন্ত্রের সংস্কৃতি হতে পারে না। সরকার বিরোধী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বা মতাদর্শিক সংগ্রাম অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে নিধন করার অপসংস্কৃতি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রয়োগ করায় তা দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং সমাজে তা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিসর যেভাবে সংকুচিত হচ্ছে এবং তা ক্রমাগতভাবে অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রক্তাক্ত সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে চরমভাবে বিপন্ন করে তুলবে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রে কারো কাম্য হতে পারে না।

সুতরাং, ভয়ের বিভীষিকাময় সংস্কৃতি চালু করার লক্ষ্যে যে কোন ইস্যুতে প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হত্যা, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে নিপীড়ন-নির্যাতন এবং গ্রেফতার করার অপকৌশল থেকে রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিবৃত্ত থাকতে হবে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনা, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল মোবারক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।