কনকনে শীতেও ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত যশোরের রাজগঞ্জের চাষিরা

চলমান কনকনে শীত উপেক্ষা করে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা।

এই প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশা, কাবু করতে পারেনি চাষিদের। তবে এখনো পুরোদমে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়নি। এখনো চাষিরা অনেক জমি ধানের চারা রোপনের জন্য তৈরি করছেন এমনটায় দেখাগেছে। শীতের তীব্রতা কমার অপেক্ষা করছেন চাষিরা। এ বছর আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে কিছুটা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এদিকে শীতের তীব্রতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড শীতে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনে ঝুঁকে পড়েছেন।

সরেজমিনে রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে- কেউ কেউ তীব্র শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমা করছেন। আবার কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে চসে জমি তৈরি করছেন। আবার কোথাও কোথাও কৃষকরা তাদের তৈরিকৃত জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। কোথাও গভীর অথবা অগভীর সেচযন্ত্র দিয়ে জমিতে পানি তুলছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন- শীতের তীব্রতা একটু কমে গেলেই কৃষকরা পুরো দমে নেমে যাবে মাঠে। সেই হিসেবে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে ধারণা করা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের কৃষক রমজান আলি (৫০) বলেন- এ বছর হানুয়ার মাঠে প্রায় সব আবাদি জমিতে ইরি-বোরো চাষ করার জন্য হালচাষ দিয়ে জমি তৈরি করা হচ্ছে। এখনও অনেক বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করা হচ্ছে।

একই গ্রামের কৃষক আশিকুর রহমান (৪০) বলেন- আগাম ধান রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। শুরুর দিকে শ্রমিক সংকট থাকে না। ধানের রোগ বালাই কম থাকে। তাই আমি প্রতি বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করে থাকি। মোঃ জনি (৪০) বলেন- এই শীতের মধ্যে আমার জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা শেষ হয়েগেছে। কৃষি শ্রমিকের তেমন সংকট নেই।

স্থানীয় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র বলেন- তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করছেন। আমরা কৃষকের পাশে আছি। আবহাওয়া জনিত কারণে প্রতিবছর বীজতলা কম বেশী নষ্ট হলেও এ বছর বীজতলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর বোরো ধানের চারার কোনো সংকট বা ঘাটতি হবে না বলে আমার বিশ্বাস।