করোনাভাইরাস: নতুন ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি মহামারী করোনাভাইরাস। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, এই ভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ মারা গেছেন।

এ ভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টাও চলছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০ জুলাইয়ের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষা চলছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে এসব ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে।

ভ্যাকসিন আবিষ্কার

জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০ জুলাইয়ের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে ভ্যাকসিন বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। আর ১৪০টি ভ্যাকসিনের এখনও মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়নি। একে বলা হয় প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

এসব ভ্যাকসিন নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তারা পশু বা প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করছেন।

১৯টি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম রয়েছে প্রথম পর্যায়ে। ১১টি ভ্যাকসিন রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে, যেখানে এসব ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এই পর্যায়ে কয়েকশ মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এর নিরাপত্তা আর সঠিকমাত্রা নিরূপণের চেষ্টা করেন।

বিশ্বে এখন তিনটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা চালিয়ে দেখা হয়।

এসব ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ, কার্যকর আর বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রযেছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ  বলেন, এসব ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা যাচাই করে দেখা উচিত। এ ছাড়া এর জন্য একটি নীতিমালা প্রয়োজন। নীতিমালায় দেখা হবে প্রথম পর্যায়ে কাদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত।

তিনি বলেন, কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কমপেক্ষ ১৮ মাস বা তার চেয়ে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। আর এসব ভ্যাকসিন নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করাও ঠিক নয়। তাই কার্যকারিতা যাচাই করে নেয়াই ভালো।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কতটা জরুরি

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকবে সারা বিশ্বের মানুষ। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে তা মানুষের শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করে তুলবে, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষকে সুস্থ রাখবে।