করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি : জয়

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিদেশি কারো সহায়তা নয়, নিজস্ব চেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি।

মঙ্গলবার রাতে (১৭ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণীর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জয় এসব কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা সমাধান করতে চাই। যারা সমাধান করতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি। এটা নেই, ওটা নেই বলে নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে। যারা নেতৃত্ব দিতে চায়, আমরা তাদের সাথে আছি।

জয় আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে আমি দেশে আসতে পারছি না। এখন আমরা ভার্চুয়ালি রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষই নিশ্চিত করবে কে আগামী দিনের নেতৃত্বে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি মূলনীতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, নাস্তিক সবার অধিকার আছে।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড এর চতুর্থবারের এ আয়োজনে বিজয়ী হয়েছে ৩০টি সংগঠন-ব্যক্তি। সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং সমন্বিত সামাজিক উন্নয়ন এ দুই প্রধান ক্যাটাগরির আওতায় বিজয়ীদের বাছাই করা হয়। এবারের আয়োজনে সাত শতাধিক আবেদনের মধ্যে থেকে মোট ৪৭টি সংগঠন-ব্যক্তিকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয়ী তরুণরাই আওয়ামী লীগ সরকারের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের চেয়ে আমাদের অবস্থা ভালো। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো। আমরা শুরু থেকেই আমাদের মেধা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। তারা প্রস্তুত ছিল না। আর আওয়ামী লীগের অনুপ্রেরণা হচ্ছে আজ যারা বিজয়ী হলেন তাদের মতো তরুণরা। বিশ্বের অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। এ ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরাই বাস্তবায়ন করেছি। বিদেশি কেউ বা কোনো কনসালটেন্ট এসে করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং ইয়ং বাংলা এর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী ৩০ সংগঠন-ব্যক্তিকে একটি করে ল্যাপটপ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়াও চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া ৪৭ সংগঠন-ব্যক্তিকে সনদপত্র দেওয়া হবে।

অনলাইনে প্রচারিত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সিআরআই এর ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।