করোনা মোকাবিলায় নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ থাকছে ৩২৯৭ কোটি

নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য দুই প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হবে ৩ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এশীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণে ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ডব্লিউবি-জিওবি) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমারজেন্সি অ্যাসিসটেন্স’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হওয়ায় নতুন অর্থবছরেও করোনা মোকাবিলায় বড় আকারের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কমিশনের তথ্যমতে, কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ডব্লিউবি-জিওবি) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মোট খরচ ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ১৭২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর এআইআইবি ও বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৬ হাজার ৬১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ থাকছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তার মধ্যে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা আর বিদেশি ঋণ ২ হাজার ৬৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

আর ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমারজেন্সি অ্যাসিসটেন্স’ প্রকল্পটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মোট খরচ ১ হাজার ৩৬৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৫১৪ কোটি ৬০ লাখ এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে ৮৪৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৫৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ১৪২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং এডিবির কাছ থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।