সাতক্ষীরায় চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কিত কৃষক! অনাবৃষ্টি ,সার ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে

কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ । প্রচলিত এই কথাটির সঙ্গে বাস্তবের মিল খুজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। সারাজীন ধরে কৃষক নির্যাতিত নিষ্পেষিত। দেশে উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ভর করে মানুষের বেঁচে থাকা। তাহলে দেশ ও দেশের মানুষের বেঁচে থাকা নির্ভর করে কৃষক ও কৃষির উপর।

বর্তমানে অনাবৃষ্টিতে কৃষক চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ, তার উপর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধি অপ্রতুল। কিভাবে চাষাবাদ সম্ভব সেই দুশ্চিন্তায় কৃষকের ঘুম উড়ে গেছে। এদিকে অনাবৃষ্টির কারণে আমন রোপন নির্ভর করছে সেচের উপর, সেচ দিতে বিদ্যুৎ/ ডিজেল প্রয়োজন আর সেই দুইটা এখন ধরা ছোয়ার বাইরে। সারাদিন ধরে বিদ্যুৎতের লোর্ডশেডিং থাকায় সেচ কার্য ব্যাহত হচ্ছে আবার ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে একদিকে সেচ কার্য ব্যাহত হচ্ছে অপর দিকে জমি চাষের খরচ বেড়ে গেছে তার উপর সারের মূল্য বৃদ্ধি ও সার প্রাপ্তি অনিশ্চিত সব মিলিয়ে কৃষক এখন আধমরা।

সাতক্ষীরার কলারোয়ার জয়নগরের সেচ পাম্পের রক্ষনাবেক্ষক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সারা দিনে এত,এত বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে যে দিনে দুইটা মটর দিয়ে সারাদিন ২০ বিঘা জমিতে পানি দিত পারি না। তার উপর শুকনা জমি, পানি দিয়ে রাখা মুসকিল। পানি দিতে দিতে শুকিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ২৫০ বিঘা জমি চাষ নির্ভর করছে সেচের পানির উপর।

পাওয়ারটিলার (কলের লাঙ্গল) চালক হারুন গাজী জানিয়েছেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে এবার চাষের খরচ বেড়ে গেছে, গত বছর বিঘা প্রতি জমি চাষ করেছিলাম ২৫০ টাকা এ বছর জমি চাষের খরচ ধরতে হবে ৩৫০ টাকাকা।

কলারোয়ার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এ বছর চাষে চরম প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন তারা। সারের মূল্য বৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎতের লোর্ডশেডিং, অনাবৃষ্টি এই সব সমস্যা অতিক্রম করে চাষাবাদ করেও ফসল বিক্রি করতে হবে লোকসানে। কিভাবে বেঁচে থাকবেন সেই ভাবনা ভাবছেন তারা।