কাতার ইস্যুতে ডলারের ভয়াবহ দরপতন

কাতার ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটে বিশ্ববাজারে ডলারের বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বিগত সাত মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। কাতার ইস্যু ছাড়াও এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বরখাস্ত, ব্রিটিশ নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী হামলা ও চলতি সপ্তাহে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের মিটিংয়ের প্রভাব এশিয়ান পুঁজিবাজার, তেলের বাজার ও ডলারের দামে প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধডজন মুসলিম দেশ।

কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির অর্থবাজারে ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তেলের দাম বেড়ে গেছে। দেশটির পুঁজিবাজার ও শেয়ারের দ্রুতপতন হচ্ছে।

আলজাজিরার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সিনিয়র সংবাদদাতা হাশেম আহেলবাররা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট।’

রাতারাতি কাতারের স্টক মার্কেটে ৮ শতাংশের বেশি পতন ঘটে। এটা ২০১৬ এর জানুয়ারির চেয়ে সবচেয়ে নিচে আছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে ডলারের পতনের কারণ হিসেবে রয়েছে বরখাস্ত হওয়া এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিষয়টিও। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন নিয়ে তদন্ত পরিচালনা না করতে বলেছিলেন ট্রাম্প।

এফবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে চাইলে জেমস কোমিকে বরখাস্তের ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে সেটা নিয়ে টানাপোড়েনের জের ধরে ডলার নিম্নগামীই ছিল। কিন্তু কাতার ইস্যু এর সঙ্গে জড়িত হলে সেটা বড় পতনের দিকে যায়।

মঙ্গলবার জাপানি ইয়েনের তুলনায় ডলারের পতন হয় ০.৬ শতাংশ। এ ছাড়া শক্ত ইউরোর কারণেও চাপে আছে ডলার।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটাতে ক্ষেপে আছে ইউরোপ। তার প্রভাব আগামী দিনে ডলারের ওপর আরো পড়বে।