কারাবন্দীর নারীসঙ্গ : জেল সুপারসহ ১১ জন বরখাস্ত

হলমার্কের কারাবন্দী মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১–এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলারসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। আরও সাতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যারা বরখাস্ত হয়েছেন- তখনকার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা এবং ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনকে। এছাড়া ছয়জন কারারক্ষী, একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি সিসিটিভির ফুটেজে তুষার আহমদের নারীসঙ্গের চিত্র ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনার তদন্তে গত ১২ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি কমিটি করে জেলা প্রশাসন। আর গত ২১ জানুয়ারি তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করে কারা কর্তৃপক্ষ।

সিসিটিভি’র ফুটেজে দেখা গেছে, কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পরে ঘোরাফেরা করছেন তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের জামা পরা এক নারী সেখানে আসেন। এ সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা গেছে, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান। আনুমানিক ১০ মিনিট পর তুষারকে সেখানে নিয়ে যান সাকলায়েন। এর প্রায় ১০ মিনিট পর রত্না তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। দুই মিনিট পর রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার। এরও দুই মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই নারীকে নিয়ে আবার রত্নার কক্ষে যান তুষার। যাওয়ার সময় তাদের হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়। এর দুই মিনিট পর তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখান থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তারা বের হন।