বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড

কার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, যতটুকু পারা যায় করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওপর হামলাকারীদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে সাজা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (০৫ এপ্রিল) গণভবনে পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বঙ্গবাজারে ১৯৯৫ সালে একবার আগুন লাগে, আবার ২০১৮ সালে লাগে। এরপর সেখানে একটি আধুনিক মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তখন বেশকিছু মানুষ বাধা দেয়, শুধু বাধাই দেয় না হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর হাইকোর্ট সেটি স্থগিত করে দেন। উচ্চ আদালতের রিটের কারণে সেটি হয়নি। যদি তখন এটি না হতো তাহলে নতুন আধুনিক মার্কেট করে দেয়া যেত। আজ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না, এ কষ্ট তারা পেত না। ঈদের আগে রোজার মধ্যে মানুষের ব্যবসা আগুনেই শেষ। ঈদের আগে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের এ কান্না সহ্য করা যায় না। এরই মধ্যে বলা হয়েছে কার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটা দেখা হবে; যতটুকু পারা যায় করা হবে।

পাশাপাশি গতকাল কিছু মানুষের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে–এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। এসব হামলাকারীদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে সাজা দেয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ শুধু ফায়ার সার্ভিস না জনস্বার্থমূলক কোনো কাজে বাধা বা বিশৃঙ্খলা করতে না পারে কেউ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।