কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক দূর্ঘটনায় ইটভাটার ৩ শ্রমিক নিহত

কুমিল্লার মুরাদনগরে আশামতি ইটভাটার একটি ট্রাক্টর খালে পড়ে চালকসহ তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় উপজেলার নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের দড়িপাড়া নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইটভাটা শ্রমিকরা হলো, উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বইলাবাড়ি গ্রামের গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে টুটুল মিয়া (২১), শাহ আলমের ছেলে রাসেল মিয়া বাবলু (২৩) ও সহিদ মিয়ার ছেলে হাছান মিয়া (২২)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে উপজেলার বইলাবাড়ি গ্রাম থেকে একটি ট্রাক্টর যোগে শ্রমিকরা রোয়াচালা আশামতি ইটভাটার কর্মস্থলে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে মোচাগড়া দড়িপাড়া নামক স্থানে পৌছার পর ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ইটভাটার ওই তিন শ্রমিক মারা যায়। ট্রাক্টরটি খালে পড়ে যাওয়ার সময় লাফ দিয়ে বেঁচে যান হৃদয় নামের একজন শ্রমিক।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন পথচারী বলেন, ট্রাক্টরটি বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে এমন দূর্ঘটনা ঘটেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, ট্রাক মালিকরা অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে চালক, হেলপার ও পথচারীরা দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুধীজনেরা বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতায় ট্রাক্টর চালক ও মালিকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তাদের সুদৃষ্টি থাকলে দূর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে আসতো।

কুমিল্লা আদালতের এসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, প্রশিক্ষণ, কাগজপত্র ও রোড পারমিট ছাড়া অনুমোদনহীন গাড়ী লাইসেন্সবিহীন অপ্রাপ্তরা চালানোর কারনেই এ ধরণের দূর্ঘটনা ঘটছে। ফিটনেস বিহীন এবং দক্ষ চালক ছাড়া কোন ভাবেই যেন যানবাহন রাস্তায় নামতে না পারে এ ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসন আরো কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।

মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই আমিসহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং লাশ উদ্ধার করি। কোন প্রকার অভিযোগ না থাকায় নিহতদের মরদেহ যার যার পরিবারের লোকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।