কুড়িগ্রামে বস্তায় ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ

কুড়িগ্রামে আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভূমিহীন পরিবারদের বস্তার মধ্যে ফসল উৎপাদন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে ছিনাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক অধিবাসীদের মধ্যে রসুন, আদা ও পেঁয়াজ চারা রোপণকৃত বস্তা এবং লেবু ও মরিচের চারা প্রদাণ করা হয়।
অপরদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠের বাইরে পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোপণ করা হয় বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম, ছিনাই ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান সাদেকুল হক নুরু, উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলমগীর।

এর আগে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের বস্তায় ফসল উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়।

আশ্রয়ণের বাসীন্দারা জানান, আমরা ভ‚মিহীন মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরসহ ২শতক জমি পেয়েছি। যেখানে ঘর তোলার পর আর তেমন কোনো জমিই নেই। সেখানে এমন শিক্ষা আর নতুন এই পদ্ধিতির চাষ আমাদের উপকৃত করবে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম জানান, সকল পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা সেই নির্দেশনার আলোকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশ্রয়নের ঘর পাওয়া মানুষদের সামান্য যে জায়গাটুকু আছে সেখানে লেবু, মরিচ, লাউ চাষের পাশাপাশি বস্তায় করে তাদের বারান্দা ও ঘরের চারিদিকে কিভাবে আবাদ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঘরপাওয়া মানুষজনও এতে খুবই আগ্রহী। আমরা মনে করছি এভাবে চাষ করতে পারলে তাদের নিজেদের চাহিদা পুরণ করে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবেন। তারা আর্থিকভাবে লাভবানও হবেন।

এছাড়াও উপজেলার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ বাদ দিয়ে বেশ কিছু জায়গা পতিত পরে থাকে। সেই জায়গাগুলোকেও আমরা চাষযোগ্য করে তুলছি। সেইসাথে বিভিন্ন স্কুলের ছাদেও ছাদ বাগান তৈরিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেখানে শিক্ষকদের পাশাপাশি আমাদের কমলমতি শিশুরা বাগান করছে। তাদের মেধা ও মনন যেমন বিকশিত হচ্ছে তেমনি প্রকৃতি প্রেমে তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।