কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধকোটি টাকায় বিক্রি হলো তরমুজের ক্ষেত

শুরুতে ফলন ভালো না হওয়ায় বেশি লাভ করতে পারেননি। প্রতিকূল আবহাওয়া আর রোগ বালাইয়ের ধকলে পরিপক্ক হওয়ার আগেই ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে অনেক ফসল। তবে এবছর চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে লোকশানে চিন্তিত থাকা ৭ কৃষকের মুখে।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুলাতলী এলাকায় ২৫ একর একটি ক্ষেতে বিট ফ্যামিলি এবং প্রভৃতি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন রাজ্জাক, মনির, দুলালসহ ৭ জন কৃষক। সম্প্রতি সময়ে সেই ক্ষেতের পরিপক্ক ফসল বিক্রি করেছেন ৪২ লাখ টাকায়। ফলে এবছর বিক্রিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় বিশ লাখ টাকা মুনুফা অর্জন করেছেন এক ক্ষেতের ৭ ভাগিদার এই চাষিরা। আর ক্ষেত ক্রেতা তরমুজ পাইকারদেরও লাভ হয়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি।

তারা বলছেন, বিগত বছরের চেয়ে কুয়াকাটার ওই ক্ষেতে এবছর তরমুজের আকৃতি এবং ফলন খুব ভালো হয়েছে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পেরেছেন। আর এতে এক ক্ষেত থেকেই ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা আয় করেছেন তারা। চাষি রাজ্জাক বলেন, তুলাতলী গ্রামের একটি বালুর মাঠ বছর চুক্তিতে লিজ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করছেন তারা ৭ জন কৃষক। বিগত বছরগুলোতে তেমন লাভের মুখ না দেখলেও এবছর বেশ ভালো লাভ করেছেন ভাগিরা।

তিনি বলেন,তাদের ক্ষেতে ২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত তরমুজের ফলন হয়েছে। কড়া লাল আর সুমিষ্ট এই তরমুজ বিক্রি করেছেন এক পাইকারের কাছেই। অপর চাষি দুলাল বিশ্বাস জানান, এবছর তেমন রোগবালাই না থাকায় ক্ষেতে তরমুজ বেশি একটা নষ্ট হয়নি। তাই লাভ করতে পেরেছেন তারা। তরমুজ ক্ষেত ক্রেতা রফিক হাওলাদার জানান, ৪২ লাখ টাকায় ৭ কৃষকের এক ক্ষেত কিনেছেন তিনি। এই ক্ষেতের তরমুজ খুলনা,নোয়াখালী,ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেছেন। এতে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।

কলাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, ৭ চাষি মিলে ২৫ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করে বেশ ভালো ফলন ফলিয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যোগাযোগ রেখেছি। ইতোমধ্যে তারা ফসল বিক্রি করেছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকায় আমরা জেনেছি। এসব তরমুজ চাষিদের সার্বিক সহযোগীতায় কৃষিবিভাগ সব সময় সচেষ্ট আছে।