কোটি টাকা আয় থাকলেও নিবন্ধন নবায়নে অনীহা ৯০ ভাগ নার্সারীর

নার্সারীতে বার্ষিক কোটি টাকা আয় থাকলেও নিবন্ধন নবায়ন নেই ৯০ ভাগের ও বেশি নার্সারীর।শুধু নার্সারীর নিবন্ধন নবায়ন নয় অনেক নার্সারীর সক্ষমতা থাকলেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করননা অনেক বড় বড় নার্সারী মালিকরা।

যশোর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, “ জেলার ৮ টি উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ২১৭ টি নার্সারী আছে। এর মধ্যে ১০৭ টি নার্সারীর নিবন্ধন ছিল। এই ১০৭ টির মধ্যে ৩ টি নার্সারীর নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়নি। বাকি ১০৪ টি নার্সারীর নিবন্ধন কয়েকধাপে শেষ হয়ে গেছে।”

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ‘ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর ও সদর উপজেলার কুয়াদা বাজার, বারী নগর, চূড়ামনকাঠি ও এর আশে পাশেই নার্সারী আছে প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি। শুধুমাত্র বাসুদেবপুর থেকেই বছরে ১০ কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। অথচ সেখানে নিবন্ধিত নার্সারীর সংখ্যা অতি নগণ্য।

নার্সারী নিবন্ধনের বিষয়ে যশোর কৃষি অফিসের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) প্রতাপ মন্ডল বলেন, “ মানসম্পন্ন চারা উৎপাদন নিশ্চিত করতে নার্সারী গুলোকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং এ রাখছি আমরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ নার্সারী মালিকদের আমরা বার বার নিবন্ধন নবায়নের জন্য বলেছি। এর পরেও যদি তাঁরা নিবন্ধন নবায়ন না করে তাহলে আমরা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রমরমা নার্সারীর ব্যবসা চালু হলেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এখাত থেকে। পক্ষান্তরে শুধু সরকার নয় চারা ক্রেতারাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনিবন্ধিত এসব নার্সারী নিবন্ধনের আওতায় না আনতে পারলেও চারা উৎপাদনের গুণগত মান নিয়ন্ত্রন জোরদারের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।